প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শুরু করেছে।
আমাদের যুবসমাজ এবং নাগরিকরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পুনর্নির্ধারণের জন্য ব্যতিক্রমী সংকল্প এবং শক্তি প্রদর্শন করেছে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শুরু করেছি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) চীনের হাইনান প্রদেশে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সংস্কারের জন্য স্বাধীন কমিশন চালু করা হয়েছে। এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়িত হলে আমাদের জাতির মৌলিক রূপান্তর ঘটবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সাথে সাথে আমরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই, যা অন্যান্য এশিয়ান দেশগুলোর সাথেও সম্পর্কিত। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারের অস্থিরতা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, কূটনৈতিক উত্তেজনা এবং বাণিজ্য ব্যাঘাত অস্থিরতা তৈরি করে।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং ঋণ পরিশোধের খরচ এশিয়ার ঋণ সংকটকে আরও গভীর করছে।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডায় বিশ্বব্যাপী প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও অগ্রগতি খুব ধীর। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৪ শতাংশ পূরণ করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, উন্নয়নশীল এশিয়ান দেশগুলো বার্ষিক ২ দশমিক ৫ থেকে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অর্থায়ন ঘাটতির মুখোমুখি হয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অর্থায়নের বাইরেও দায়িত্বশীল অর্থায়নের মাধ্যমে এশিয়ার অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণে বড় আকারের বিনিয়োগের প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার (২৬ মার্চ) চারদিনের চীন সফরে গেছেন। প্রধান উপদেষ্টার এটাই প্রথম কোনো দেশে দ্বিপক্ষীয় সফর।